প্রকাশিত: Wed, Apr 12, 2023 4:26 PM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:52 AM

বঙ্গবাজারে চৌকি পেতে বেচাকেনা শুরু, ক্রেতা কম

মাসুদ আলম: ঈদের আগে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং আপাতত দিন যাপন করতে ব্যবসায়ীদের এই পদক্ষেপ। কিন্তু ব্যবসায়ীদের চেহারা থেকে হতাশার ছাপ কাটেনি। বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়,  বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের খোলা জায়গায় এখন আর কোনো পোড়া স্তূপ নেই। সেই জায়গা ইট বিছিয়ে বালু ছিটিয়ে সমতল করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা মাথায় করে চৌকি নিয়ে আসছেন। তারপর বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সেই চৌকি পাতছেন। প্রখর রৌদের মধ্যে অস্থায়ী চৌকির ওপর মালামাল নিয়ে বসে আছেন।  মাথার ওপর ত্রিপল নেই। আছে শুধু ছাতা। দুপুরে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরুর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীর আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চৌকি কিনে এনেছেন তারা। একেকটি চৌকির আয়তন লম্বায় পাঁচ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে তিন ফুট। মানভেদে একেকটি চৌকির দাম পড়েছে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। একজন ব্যবসায়ীকে আপাতত একটি চৌকি বসাতে দেওয়া হচ্ছে।  প্রায় ৭০০ জন ব্যবসায়ী চৌকি বসিয়ে বঙ্গবাজারে বসেছেন।

দোকান মালিক সমিতির নেতারা জানান,  বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটে ২ হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আপাতত দুই হাজার ৯৬১টি চৌকিই বসার পরিকল্পনা তাদের। যাতে কোনো ব্যবসায়ী বঞ্চিত না হন।

দেশ গার্মেন্টস দোকানের মালিক হাজি মহিউদ্দিন বলেন, ৫৫ লাখ টাকার মাল আগুনে পুইড়া গেছে, অহন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মাল নিয়ে বইছি। 

ব্যবসায়ী মতিউর বলেন, আগুন সব মালামাল পুড়ে গেছে। নতুন করে মালামাল তোলার টাকাও নেই। অল্প কিছু মালামাল নিয়ে বসেছি। ঈদের আগে আমাদের ভালো ব্যবসা হতো। এখন সেটি না হলেও আপাতত খেয়ে পরে বাঁচার ব্যবস্থা হবে। 

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আপাতত আমরা চৌকি বিছানোর কাজ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই যেন দোকান পায়, আমরা তা নিশ্চিত করছি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব